Site icon Right News

ফজরের সুন্নত কি কাযা করতে হবে এবং ফজরের জামাত শুরু হওয়ার পর সুন্নত পড়া যাবে কি?

ফজরের সুন্নত কি কাযা করতে হবে

ফজরের সুন্নত কি কাযা করতে হবে

ফজরের সুন্নত কি কাযা করতে হবে

ফজরের সুন্নত নামাজ কাজা করা ওয়াজিব। হাদিস শরিফে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “তোমরা ফজরের সুন্নত ছেড়ে দেবে না। যদিও শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া দেয়।” (আবু দাউদ, হাদিস নং: ১২৫৮)

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।” (মুসলিম, হাদিস নং: ৭২৫)ফজরের সুন্নত নামাজ কাজা হলে, সূর্য উদিত হওয়ার পরপরই তা পড়ে নেওয়া উচিত। তবে যদি সুন্নত পড়ে ইমামকে দ্বিতীয় রাকাতে পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে সুন্নত পড়া ছাড়াই জামাতে শরিক হওয়া উচিত। এরপর পরে সুন্নত পড়ে নেওয়া যাবে। সুতরাং, ফজরের সুন্নত নামাজ কাজা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি অবহেলা করা উচিত নয়।ফজরের সুন্নত নামাজের নিয়ত। ফজরের সুন্নত।

ফজরের নামাজ কত রাকাত কিভাবে পড়তে হয়
ফজরের নামাজ কত রাকাত কিভাবে পড়তে হয়

ফজরের নামাজ কত রাকাত কিভাবে পড়তে হয়?

ফজরের নামাজ মোট চার রাকাত তার মধ্যে দুই রাকাত ফরজ আর দুই রাকাত সুন্নত।

সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম:

ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম: সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম অনুসরণ করে ফরজ নামাজ পড়া হবে। তবে ইমাম সাহেবের পিছনে পড়লে ইমাম সাহেবের সাথে সাথে সূরা পড়তে হবে না। তাছাড়া বাকি সবগুলোই পড়বেন।

ফজরের জামাত শুরু হওয়ার পর সুন্নত পড়া যাবে কি?

ফজরের জামাত শুরু হওয়ার পর সুন্নত পড়া যাবে কিনা তা নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে অধিকাংশ স্কলারের মতে, ফজরের জামাত শুরু হওয়ার পর সুন্নত পড়া জায়েজ। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.), হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ও আবু দারদা (রা.)- এর মতো বিশিষ্ট সাহাবিরা ফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও সুন্নত পড়ে নিতেন।

ফজরের জামাত শুরু হওয়ার পর সুন্নত নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত:

উল্লেখ্য, সুন্নত নামাজ পড়া ওয়াজিব নয়, তবে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফজরের সুন্নত নামাজের ফজিলত অনেক। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, ফজরের সুন্নত নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে রাত জেগে ইবাদতকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

ফজরের নামাজ কাজা হলে কখন পড়তে হবে?

ফজরের নামাজ কাজা হলে তা সূর্য ওঠার পর থেকে যোহরের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় পড়ে নেওয়া যাবে। তবে সূর্য ওঠার পর থেকে সূর্য উঠার কমপক্ষে ১০ মিনিট পর কাজা নামাজ আদায় করা উচিত। কেননা সূর্য ওঠার সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।ফজরের নামাজ কাজা হলে দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ পড়তে হবে। যদি ওইদিন জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যাওয়ার পর কাজা করা হয়, তাহলে শুধু দুই রাকাত ফরজ পড়তে হবে। সুন্নত পড়ার দরকার নেই।ফজরের নামাজ কাজা করলে তাড়াতাড়ি আদায় করা উচিত। কারণ, ফজরের নামাজ আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, ফজরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে রাত জেগে ইবাদতকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

ফজরের শেষ সময় কখন?

ফজরের শেষ সময় সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত। সূর্যোদয়ের পর ফজরের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। ফজরের নামাজের সময় শুরু হয় সুবহে সাদিকের পর থেকে। সুবহে সাদিক হলো সেই সময় যখন আকাশের পূর্বাংশ লালচে দেখা যায়। সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজ পড়া যায়। তবে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময়ের মধ্যে একটি সময় রয়েছে যাকে “মওকুফ সময়” বলা হয়। এই সময়টিতে ফজরের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। মওকুফ সময়ের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে স্থানের উপর। সাধারণত, মওকুফ সময়ের দৈর্ঘ্য ১০-১৫ মিনিট। সুতরাং, ফজরের শেষ সময় হলো সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত। তবে মওকুফ সময়ের মধ্যে ফজরের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।

ফজরের নামাজের উত্তম সময় কখন
ফজরের নামাজের উত্তম সময় কখন?

ফজরের নামাজের উত্তম সময় কখন?

ফজরের নামাজের উত্তম সময় হলো সুবহে সাদিক হওয়ার পর থেকে সূর্য ওঠার ঠিক আগে পর্যন্ত। এই সময়টিতে আকাশের পূর্বাংশ লালচে দেখা যায়, কিন্তু সূর্যের আলো এখনও স্পষ্টভাবে দেখা যায় না। এই সময়টিতে ফজরের নামাজ পড়ার ফজিলত অনেক বেশি। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, ফজরের নামাজের উত্তম সময় হলো “গালাসে” অর্থাৎ অন্ধকারের সময়।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “ফজরের নামাজের উত্তম সময় হলো যখন সূর্য ওঠার ঠিক আগে আকাশের পূর্বাংশ লালচে দেখা যায়।” (তিরমিজি, হাদিস ২৪২) সুতরাং, ফজরের নামাজ পড়তে হলে এই উত্তম সময়টিকে কাজে লাগানো উচিত।

সূর্য উঠার পর ফজরের নামাজ পড়া যাবে কি? সূর্য উঠার পর ফজরের নামাজ পড়া যাবে না। ফজরের নামাজের সময় শেষ হয় সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত। সূর্য ওঠার পর ফজরের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।

ফজরের নামাজের সময় শুরু হয় সুবহে সাদিকের পর থেকে। সুবহে সাদিক হলো সেই সময় যখন আকাশের পূর্বাংশ লালচে দেখা যায়। সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজ পড়া যায়। তবে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময়ের মধ্যে একটি সময় রয়েছে যাকে “মওকুফ সময়” বলা হয়। এই সময়টিতে ফজরের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। মওকুফ সময়ের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে স্থানের উপর। সাধারণত, মওকুফ সময়ের দৈর্ঘ্য ১০-১৫ মিনিট।সুতরাং, সূর্য ওঠার পর ফজরের নামাজ পড়া যাবে না। যদি কেউ সূর্য ওঠার পর ফজরের নামাজ পড়ে, তাহলে তার নামাজ হবে না। তাকে পরে কাজা করে নিতে হবে। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পর ফজরের নামাজ পড়ে, তার নামাজ হবে না।” (বুখারি, হাদিস ৫২৪) সুতরাং, সূর্য ওঠার পর ফজরের নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

আরো জানতে ক্লিক করোনঃ যোহরের নামায / মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত

Exit mobile version