শবে বরাতের ইতিহাস
শবে বরাত পালনের ইতিহাস স্পষ্টভাবে জানা যায় না।
কিছু মতামত অনুসারে:
প্রথম যুগে সাহাবাগণ শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাতকে বিশেষভাবে ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাতেন।
তৃতীয় হিজরী শতাব্দীতে তাবাঈনগণ এই রাতকে ‘লাইলাতুল বারা’আ’ (মুক্তির রাত) নামে অভিহিত করেন।চতুর্থ হিজরী শতাব্দীতে ‘শবে বরাত’ নামটি প্রচলিত হয়।
ষষ্ঠ হিজরী শতাব্দীতে ‘শবে বরাত’ পালন একটি সামাজিক রীতিনীতিতে পরিণত হয়।
শবে বরাত পালনের ব্যাপারে কিছু বিতর্ক রয়েছে।
কিছু আলেম মনে করেন, এই রাতে বিশেষভাবে ইবাদত-বন্দেগি করার কোন নির্দেশ নেই।
অন্যদিকে, অনেক আলেম মনে করেন, এই রাতটি বিশেষ রহমত ও ক্ষমার রাত, তাই এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করা উত্তম।
মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, অধিকাংশ মুসলিম এই রাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং ইবাদত-বন্দেগিতে কাটান।
শবে বরাতের রাতে মুসলিমরা বিভিন্ন রীতিনীতি পালন করে থাকেন।
আরো জানুনঃ শবে বরাত কত তারিখে
শবে বরাত কেন পালন করা হয়
শবে বরাত পালনের কারণ
শবে বরাত পালনের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে।
কিছু মতামত অনুসারে:
- এই রাতে আল্লাহ তায়ালা সকল সৃষ্টির ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।
- এই রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।
- এই রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন।
- এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং বান্দাদের জন্য দোয়া করেন।
- মুসলিমরা এই রাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন রীতিনীতি পালন করে থাকেন।
কিছু রীতিনীতি হলো:
- রোজা রাখা
- নামাজ পড়া
- কুরআন তেলাওয়াত
- দোয়া-প্রার্থনা
- তাসবিহ বলা
- দান-সদকা
- কবর জিয়ারত
- মৃতদের জন্য দোয়া
মনে রাখবেন:
কিছু আলেম মনে করেন, এই রাতে বিশেষভাবে ইবাদত-বন্দেগি করার কোন নির্দেশ নেই।
অন্যদিকে, অনেক আলেম মনে করেন, এই রাতটি বিশেষ রহমত ও ক্ষমার রাত, তাই এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করা উত্তম।
মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, অধিকাংশ মুসলিম এই রাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং ইবাদত-বন্দেগিতে কাটান।
আরো জানুনঃ শবে বরাত কি বিদআত । শবে বরাতের নামাজ ।