এশার নামাজ কয় রাকাত সুন্নত কয় রাকাত ফরজ
এশার নামাজের ফরজ ৪ রাকাত। এর আগে ৪ রাকাত সুন্নত পড়া সুন্নত। ফরজ নামাজের পরে ২ রাকাত সুন্নত পড়াও সুন্নত।এশার নামাজ কয় রাকাত।
- ৪ রাকাত সুন্নত
- ৪ রাকাত ফরজ
- ২ রাকাত সুন্নত (ঐচ্ছিক)
- ২ রাকাত নফল (ঐচ্ছিক)
- অবশ্য, অনেকে এশার নামাজের পরে বিতর নামাজও পড়েন। বিতর নামাজ ৩ রাকাত।
এশার নামাজ কত রাকাত
এশার নামাজ ১৫ রাকাত কি কি
এশার নামাজের মোট সংখ্যা হল ৯ রাকাত। তবে এর মাঝে নফল নামাজ রয়েছে ।এশার নামাজ ৯ রাকাত কি কি।
- ৪ রাকাত ফরজ
- ২ রাকাত সুন্নত
- ৩ রাকাত বিতর ওয়াজিব। এই ১৫ রাকাতের মধ্যে, ফরজ নামাজ ৪ রাকাত। সুন্নাত নামাজ ২ রাকাত। ৪ রাকাত সুন্নত এটি ঐচ্ছিক। নফল নামাজ ২ রাকাত এটি ঐচ্ছিক। বিতর নামাজ ৩ রাকাত। এটি ওয়াজিব।
এশার নামাজ মোট কত রাকাত
এশার নামাজ কয় রাকাত ও নিয়ত
এশার নামাজের ফরজ ৪ রাকাত। এর আগে ৪ রাকাত সুন্নত পড়া সুন্নত। ফরজ নামাজের পরে ২ রাকাত সুন্নত পড়াও সুন্নত। তবে এশার নামাজের আগের সুন্নত না পড়লেও পরে নফল পড়া যাবে।সুতরাং, এশার নামাজের মোট রাকাত সংখ্যা হলো ১০ বা ১২। অবশ্য, অনেকে এশার নামাজের পরে বিতর নামাজও পড়েন। বিতর নামাজ ৩ রাকাত। তবে এটি ওয়াজিব।এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ।এশার নামাজ।
এশার নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতাই সালাতিল ঈশাহ ফারদুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাহ।
অর্থ: আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ ঈশার নামাজের চার রাকাত আদায় করার নিয়ত করছি। কেবলামুখী হয়ে।সুন্নাত নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া সুন্নাতিল ঈশাহ রাকাআতাই মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাহ।
অর্থ: আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈশার সুন্নাতের দুই রাকাত নামাজ আদায় করার নিয়ত করছি। কেবলামুখী হয়ে।
এশার নামাজ পড়ার নিয়ম
- তাকবীরে তাহরীমা:
- উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার।
- অর্থ: আল্লাহ মহান।
- আউযুবিল্লাহি মিনাশ-শাইতানির রাঝিম:
- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম:
- সানা
- সূরা ফাতিহা:
- রুকু তে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলা।
- রুকুতে থেকে উটার সময় সামি আল্লা হুলিমান হামিদা বলা।
- সিজদা: তে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলা।
- সিজদায় থেকে উটার সময় আল্লাহু আকবার বলা।
- বৈঠক বসা ।
- আত্তাহিয়াতু পড়া।দরুদ শরিফ পড়া ।দোওয়ায়ে মাছুরা পড়া।
আরো পড়ুনঃ আজকের আসরের নামাজের শেষ সময় / আসরের নামাজের পর তাসবিহ
মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
এশার নামাজের ওয়াক্ত
এশার নামাজের ওয়াক্ত হলো মাগরিবের নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত।আজকের এশার নামাজের সময়।
- মাগরিবের নামাজের সময় শেষ হওয়ার পর
- পশ্চিমাকাশে লাল আভা দেখা যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে। সূর্য সম্পূর্ণ অস্তমিত হয়ে গেলেপর্যন্ত এশারনামাজ পড়া যায়।
- সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত
- পূর্বাকাশে লাল আভা দেখা যাওয়া শুরু হলে সূর্য উদিত হলে পর্যন্ত এশার নামাজ পড়া যায়।
- তবে, এশার নামাজ পড়ার সর্বোত্তম সময় হলো রাতের তিনের এক ভাগ সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।
অর্থাৎ, সূর্য সম্পূর্ণ অস্তমিত হওয়ার পর থেকে রাতের এক তৃতীয়াংশ সময় পর্যন্ত এশার নামাজ পড়া উত্তম।
মাকরুহ সময়;রাতের দুই তৃতীয়াংশ সময় পার হয়ে গেলে
সুবহে সাদিকের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত।এই সময় এশার নামাজ পড়া মাকরুহ।এশার নামাজের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় আলেমের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
আরো পড়ুনঃ ফজরের সুন্নত কি কাযা করতে হবে / ফজরের নামাজের দোয়া সমূহ