মধু ও কালো জিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে এক কথায় বলা যায় মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ হল কালোজিরা ও মধু । নিম্নে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
আজ থেকে আরও কয়েক হাজার বছর পূর্বে ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্রের কালোজিরা এবং মধুর ঔষধি উপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে । শুধু তাই নয় মেডিকেল সাইন্স এর জনক ইবনেসিনাও বলেছেন সকালে খালি পেটে মাত্র সাত দিন কালোজিরা ও মধু খেলে শরীরে আশ্চর্য কিছু উপকার হয় । আমরা জানি কালোজিরা ও মধু শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী । কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জানে না যে, কিভাবে এ দুটি খাবার একসাথে মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায় ।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত: কালোজিরাই রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট অর্থাৎ শরীরের রোগ জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান ।এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজেই সংক্রামক রোগ বা ছোঁয়াছে রোগ হয় না ।
কালোজিরা হল অ্যান্টিবায়োটিক বা এন্টিসেপটিক । আর মধুতে রয়েছে ৪৫ এর চেয়ে বেশি খাদ্যগুণ । তবে মধুতে চর্বি ও প্রোটিন থাকে না । মধুর এন্টি ম্যাক্রোবিয়াল ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহকে যে কোনো সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয় । মধুতে আরো অনেক গুণ রয়েছে, তার মধ্যে মধু হাঁপানি শ্বাসকষ্ট কমাতে খুব দ্রুত কাজ করে । এবং কালোজিরার তেলেও একই গুণ বিদ্যমান।
কালোজিরা খেলে কি কি উপকার হয়?
ঠান্ডা জনিত যেকোনো অসুখ খুব দ্রুত সারিয়ে তুলতে পারে । কালোজিরা এবং মধু সঠিক পদ্ধতিতে যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে শরীরে সর্বপ্রথম যেটা ঘটবে সেটা হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার এক শক্তিশালী দেয়াল তৈরি হবে আপনার দেহে । নিয়মিত খেলে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সতেজ থাকবে । এবং যে কোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে আপনার শরীরকে সুস্থ সবল করে তুলবে । সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে । যদি কালোজিরা নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ একদম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে । যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে । তবে ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মধুটা বাদ দিয়ে শুধু কালোজিরা খেতে হবে । মধু কালোজিরার সাথে শুধুমাত্র তারাই খেতে পারবে যাদের ডায়াবেটিস নেই ।
কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন সকালে কালোজিরার ২১ টি বীজ ও এক চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে সেবন করতে হবে । অনেকেই কালোজিরার তেল খান, এ ক্ষেত্রে কালোজিরার তেল খাওয়ার চাইতে কালোজিরা বীজ খাওয়াটাই ভালো । শরীরের কোন অঙ্গ- প্রতঙ্গে ব্যথা থাকলে সেখানে কালোজিরার তেল মালিশ করলে সকল প্রকার আঘাত জনিত ব্যথা দূর হয়ে যাবে ।
উক্ত আলোচনা থেকে আরো কোন বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে নক করুন । উপরোক্ত আলোচনায় কোন প্রকার ভুল – ভ্রান্তি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে আপনার জানা সঠিক তথ্যটি জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন। শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আরো জানতে ক্লিক করুন- কি ফুলের মধু ভালো / গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা / কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা কি? / লিচু ফুলের মধুর উপকারিতা কি কি এবং লিচু ফুলের মধু চেনার উপায় / আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা / তালমিছরি উপকারিতা ও আসল তালমিছরি চেনার উপায়