শবে বরাত সম্পর্কে জানতে চাই
শবে বরাত হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত ইসলামের একটি বিশেষ রাত।
শবে বরাতের ফজিলত
ক্ষমা ও রহমতের রাত: এ রাতে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের উপর অশেষ রহমত বর্ষণ করেন এবং তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেন।
দোয়া কবুলের রাত: এ রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া-প্রার্থনা করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ইবাদতের রাত: এ রাতে রোজা রাখা, নামাজ পড়া, কুরআন তেলাওয়াত করা, তাসবিহ বলা, দান-সদকা করা ইত্যাদি ইবাদতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
বর্জনীয়:
পাপাচার: এ রাতে পাপাচার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
অসৎ কাজ: এ রাতে অসৎ কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
মিথ্যা বলা: এ রাতে মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকা উচিত।
অন্যায় আচরণ: এ রাতে অন্যায় আচরণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
শবে বরাতের রাতকে কীভাবে কাটানো যায়:
সূর্যাস্তের পর থেকে ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করা।
নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়া, তাসবিহ, দান-সদকায় রাত কাটানো।
পাপাচার ও অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা।
পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে সময় কাটানো।
মনে রাখবেন:
ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত।
আরো জানুনঃ শবে বরাত কত তারিখে । শবে বরাতের ইতিহাস । শবে বরাত কি বিদআত ।
শবে বরাতের নামাজ
শবে বরাতের নামাজ সম্পর্কে হাদিসে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই।
কত রাকাত নামাজ পড়বেন:
আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী দুই রাকাত করে যত খুশি নামাজ পড়তে পারেন।
নামাজের নিয়ম:
প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য যেকোনো সূরা পড়তে পারেন।
তাহাজ্জুদের নিয়মে নামাজ পড়তে পারেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- কুরআন তেলাওয়াত
- দোয়া-প্রার্থনা
- তাসবিহ বলা
- দান-সদকা
- পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে সময় কাটানো
- আশা করি, এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।