এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ
এশার নামাজ কয়টায়
ইশার নামাজের সময় হলো সূর্যাস্তের পর থেকে রাতের তিনের এক ভাগ সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। সুতরাং, আজকের ঢাকা শহরে ইশার নামাজের সময় সূর্যাস্তের পর থেকে সন্ধ্যা ৯টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত।ইশার নামাজের ফরজ ৪ রাকাত। এছাড়াও, সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ৪ রাকাত এবং সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বাইনাল আজানের বিতরের ২ রাকাত নামাজ পড়া উত্তম।আজকের তারিখ, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার। আজকের ঢাকা শহরে ইশার নামাজের সময় হলো সন্ধ্যা ৭টা ০১ মিনিট। অর্থাৎ, এখন থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর ইশার নামাজ পড়া যাবে।
এশার নামাজের নিয়ম ও দোয়া
এশার নামাজের পর আমলএশার নামাজের পর কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যা মুসলিম উম্মাহকে পালন করা উচিত। এসব আমল পালন করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পাশাপাশি পার্থিব ও পরকালীন কল্যাণ লাভ করা যায়।
এশার নামাজের পরের আমলগুলো হলো:
আয়াতুল কুরসি পড়া:হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা মৃত্যু ছাড়া আর কোনো কিছু বাধা হবে না।” (বুখারি, নাসাঈ, তাবারানি)
৩ কুল পড়া:কুরআনুল কারিমের শেষ তিন সুরা হলো সূরা ফালাক, সূরা নাস এবং সূরা ইখলাস। এই তিন সুরাকে “৩ কুল” বলা হয়। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এই তিন সুরা পড়ার ফজিলত অনেক বেশি।
৩ তাসবিহ পাঠ করা: আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ৩৩ বার ‘আল্লাহু আকবার’ পড়বে এবং ১০০ বার পূর্ণ করার জন্য একবার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর’ পড়বে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার পরিমাণ হয়।” (মুসলিম)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া: এশার নামাজের পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দুয়া ও ইস্তেগফার করা উচিত। ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হওয়া:
এশার নামাজের পর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হওয়া উচিত। তাহাজ্জুদ নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার ইত্যাদি ইবাদত করা যেতে পারে।
এছাড়াও, এশার নামাজের পর পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানো, তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া, তাদের সাথে হাসি-খুশি থাকা ইত্যাদিও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।
এশার নামাজের ফজিলত
ইশার নামাজের ফজিলত অনেক। হাদিসে এশার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।
এশার নামাজের ফজিলত
- ইশার নামাজ জামাতে আদায় করলে সাতাশ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
- ইশার নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
- ইশার নামাজ আদায় করলে শয়তান থেকে হেফাজত পাওয়া যায়।
- ইশার নামাজ আদায় করলে রাতকে ভালো কাজে কাটানো হয়।
- ইশার নামাজ আদায় করলে পরকালে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা লাভ করা যায়।
- এশার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে।
হাদিস
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতে আদায় করে, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ আদায় করল।” (তিরমিজি)
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতে আদায় করল, সে যেন শয়তানের বিরুদ্ধে একটি দূর্গ নির্মাণ করল।” (মুসলিম)
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এশার ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (তিরমিজি)সুতরাং, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এশার নামাজ জামাতে আদায় করা।
এশার নামাজ কত রাকাত
ইশার নামাজের ফরজ ৪ রাকাত দুই দুই রাকাত করে পড়া হয়। এশার নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নত আছে, এবং পরে ২ রাকাত সুন্নত আছে। এর পরে আরো নফল নামাজ আছে। আর ৩ রাকাত বেতের নামাজ আছে।এশার ৪ ফরজ নামাজ রাকাত । এই ৪ ফরজ নামাজ রাকাত না পড়লে গুনাহ হবে। তবে অন্য সুন্নত ও বেতেরের নামাজ বিশেষ কারণে ছাড় যেতে পারে।ইশার নামাজের নিয়ম অন্যান্য নামাজের মতোই। তবে কিছু নিয়ম আছে যেগুলো ইশার নামাজের জন্য বিশেষ।
- ইশার নামাজের ফরজ ৪ রাকাত।
- প্রথম ২ রাকাত সুরা ফাতেহা ও অন্য যেকোনো সুরা পড়ে পড়া হয়।
- শেষ ২ রাকাত সুরা ফাতেহা ও সূরা আহযাব পড়ে পড়া হয়।
- রুকু, সিজদা, তাশাহহুদ, সালাম সবকিছুই অন্য সব নামাজের মতোই।
আরো পড়ুনঃ ফজরের নামাজের দোয়া সমূহ ফজরের সুন্নত কি কাযা করতে হবে
+ There are no comments
Add yours